দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম পাণ্ডা গ্রেফতার। বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ থাকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ বিধাননগর সাইবার থানায় উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী একটি চক্র সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরকে বিভ্রান্ত করছে। অভিযোগটিতে কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেন, ওই চক্রটি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরকে ওই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তাঁরা দিতে পারবেন অর্থের বিনিময়ে।
এই অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তারা দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে। যার মধ্যে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে। সেই অ্যাকাউন্টটি ছিল নদিয়ার বাসিন্দা প্রীতি শর্মার নামে। এরপরই বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ যোগাযোগ করে প্রীতি শর্মার সঙ্গে।বিধাননগর পুলিশ সূত্রে খবর, পরীক্ষার আগেই উচ্চমাধ্যমিক প্রশ্নপত্র পাইয়ে দেওয়ার নামে রাজ্যজুড়ে রমরমিয়ে প্রতারণা চক্র চলছিল। অভিযোগ এসেছিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দপ্তরে। তারই ভিত্তিতে সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বিধাননগর কমিশনারেটের সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারণাকার্যে জড়িত মূল পান্ডাকে পাকড়াও করেছে সাইবার পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম রুপম সাধুখাঁ। নদিয়ার হাবিবপুরের পানপাড়ার বাসিন্দা।তদন্তে নেমে দেখা যায়, প্রতারিত পরীক্ষার্থীদের দুটো কিউআর কোড দেওয়া হয়েছিল। যেখানে টাকা পাঠানো হচ্ছিল। সেই কিউআর কোড স্ক্যান করে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ মেলে। সেই সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। দেখা যায়, অ্যাকাউন্টের মালকিন নদিয়ার এক যুবতী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, জোর করে তাঁর এটিএম কার্ড কেড়ে নিয়েছিলেন বন্ধু রূপম সাধুখাঁ। তিনি জানান, অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর টাকার লেনদেন হচ্ছিল, তার মেসেজ তিনি পেয়েছিলেন। এর পরই রূপকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে জেরা করে চক্রের অন্যদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতে পেশ করে ধৃত রূপমকে নিজেদের কাস্টোডিতে নিতে চায় বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যদেরও খোঁজ পেতে চায় পুলিশ।