প্রসেনজিৎ ধর :- পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল সাজ্জাক। বাধ্য হয়ে পালটা গুলি চালায় পুলিশ। গোয়ালপোখর এনকাউন্টার নিয়ে এমনই দাবি করল পুলিশ। শনিবার ভোরে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলমের। গত বুধবার আদালত থেকে জেলে ফেরার সময় ২ পুলিশকর্মীকে গুলি করে পালিয়েছিল সে।গোয়ালপোখরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি কাণ্ডে সাজ্জাক আলমকে কীভাবে খতম করা হল, শনিবার ভবানীভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই অপারেশন সংক্রান্ত তথ্য দিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম।শনিবার দুপুরে রাজ্যের অতিরিক্ত নির্দেশক (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম বলেন, ১৫ জানুয়ারি সাজ্জাক আলম নামে খুনের মামলায় বিচারাধীন অপরাধী আমাদের এক কন্সটেবল ও এক অতিরিক্ত সাব ইন্সপেক্টরকে গুলি করে পালায়। তার পরই সিনিয়র আধিকারিকদের নেতৃত্বে একাধিক দল গঠন করা হয়। STFকেও ময়দানে নামানো হয়। তার পর থেকেই আমরা এই অভিযুক্ত ও আর সহযোগীদের যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় আনতে তৎপর হয়ে উঠেছিলাম। সেদিন থেকেই আমরা প্রতিবেশী জেলা ও রাজ্যের ওপর নজরদারি শুরু করি। আন্তর্জাতিক সীমান্তেও নজরদারি কড়া করা হয়। গতকাল আমাদের কাছে খবর আসে যে এরা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করবে। এর পর যতগুলো জায়গা দিয়ে সীমান্ত পারাপার করা যায় প্রত্যেকটির জন্য আলাদা দল গঠন করে নজরদারি শুরু হয়। উত্তরবঙ্গজুড়ে ঘন কুয়াশা থাকা সত্বেও শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ ডিআইজি রায়গঞ্জ সুধীর নীলকণ্ঠমের নেতৃত্বাধীন একটি দল অভিযুক্তকে দেখতে পায়। তাকে দাঁড়াতে বললে সে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে ও পালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশ পালটা গুলি চালায়। তাতে সে আহত হয়। সেই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal