দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ফের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অঙ্কে ফেল করেছেন বহু পড়ুয়া। যার ফলে তাঁরা স্কলারশিপের জন্য আবেদন করলেও মনোনীত হননি। এই অবস্থায় অবিলম্বে অঙ্কে পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবি জানালেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারের পড়ুয়াদের একাংশ। এই দাবিতে সোমবার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত এবং কয়েকজন আধিকারিককে তাঁরা ঘেরাও করে রাখেন। তবে উপাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পড়ুয়াদের এই দাবি সমর্থনযোগ্য নয়।বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, কয়েক দিন আগে দু’জন ছাত্রের সরকারি ওয়েবসাইটে আপলোড করা গ্রেডকার্ড দেখে সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। এরপর দু’জনের নথি পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের দুই পড়ুয়ার নম্বর বদলের অভিযোগ ওঠে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়টি বিকাশ ভবনকে জানায়। এখনও পর্যন্ত ৪০ জনের নাম সামনে এসেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন যে, এ বার থেকে প্রত্যেক পড়ুয়ার গ্রেডকার্ড যাচাই করা হবে। সেই মতোই তাঁরা বৃত্তি পাবেন। আপাতত পড়ুয়াদের বৃত্তি আটকে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দুই ছাত্র। তবে জানা যায়, তাঁরা দুজনেই অঙ্কে ফেল করেছেন। মার্কশিট জালিয়াতি করে নম্বর বাড়িয়েছেন। সে বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কলারশিপের জন্য তাঁদের আবেদন গ্রহণ করেনি। এরপর পড়ুয়ারা উচ্চ শিক্ষা দফতরে যান। সেখানেও মার্কশিট জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে। এরপরে ছাত্রদের এমন মার্কশিট বিকৃতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক উচ্চশিক্ষা দফতর। তখন বিশ্ববিদ্যালয় মার্কশিট নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করে দেয়। অভিযোগ উঠেছে, এই সব পড়ুয়ারা সিনিয়রদের কথা শুনে এই কাজ করেছিলেন।উপাচার্য জানান, এমনটা হতে পারে, তা তিনি ভাবতেই পারেননি। তাঁর মতে, আজব দাবিতে আন্দোলন করছেন এইসব পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ছাত্রসমাজও তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন করবে না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিও এই আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। তাদের বক্তব্য, এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এতে ছাত্রদের কোনও উপকার হবে না।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal