Breaking News

গ্রুপ সি-গ্রুপ ডি’র চাকরিহারাদের ভাতা দেওয়ায় স্থগিতাদেশ রাখলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের রাজ্য সরকারের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি তাঁর মৌখিক নির্দেশে রাজ্যকে জানিয়েছেন, এখনই কোনও ভাতা দেবেন না।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেল বাতিলের জেরে চাকরি খারিজ হয়ে গিয়েছে ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। শিক্ষকদের নতুন করে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি অর্থাৎ অশিক্ষক কর্মীদের জন্য এখনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। এই সময়ের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে তাঁদের যথাক্রমে ২৫ হাজার ও ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। সোমবার সওয়াল-জবাবের সময় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর যুক্তি, ”সুপ্রিম কোর্ট বেআইনি নিয়োগের জন্য যাঁদের চাকরি বাতিল করেছে, তাঁদের এই ভাবে টাকা পাইয়ে দেওয়া যায় না। কারণ সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা আছে, সুপ্রিম কোর্টের কোনও নির্দেশ থাকলে তাকে মান্যতা দিতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ২৬ হাজার চাকরি খারিজের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। আর তারপরেই গ্রুপ সি ও ডি চাকরি খারিজ কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর নামে সরকারি কোষাগার থেকে টাকা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে সরকারি টাকা দেওয়ার সুযোগ সংবিধানে আছে। কিন্তু সেটা সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর চাকরি খারিজ হওয়াদের জন্য কার্যকর নয়।”বিকাশবাবুর সওয়ালের পর বিচারপতি মামলার পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার হবে বলে জানান। সেদিন রাজ্য সরকার তার বক্তব্য জানাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সঙ্গে তিনি বলেন, ততদিন ভাতা দেওয়ায় স্থগিতাদেশ জারি থাকবে। একথা শুনেই রাজ্যের তরফে সোমবারই ফের এই মামলার শুনানি করার আবেদন জানান সরকারি আইনজীবীরা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বিরতির পর বেলা ২টো থেকে ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি সিনহা। কিন্তু স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেননি তিনি। বেলা ২টো থেকে আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সওয়াল করবেন|

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *