নিজস্ব সংবাদদাতা :- এসআইআরের আতঙ্কে আত্মহত্যার অভিযোগ এবার দক্ষিণ দমদমে। আর এন গুহ রোডের বাসিন্দা ৪৭ বছর বয়সের বৈদ্যনাথ হাজরাকে সকালে বাড়ির কাছে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বৈদ্যনাথ হাজরার নাম ছিল না। তা নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন তিনি। সেই চিন্তায় ইন্ধন জুগিয়েছিল ২০০২-এর তালিকায় মা-বাবার নাম না থাকায়। বৈদ্যনাথ হাজরার স্ত্রী জানিয়েছেন, এসআইআর নিয়ে চিন্তা করে বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বৈদ্যনাথ। রবিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার রাত ২টোর একটু পরেই ঘর থেকে বেরিয়ে যান বৈদ্যনাথ। মোবাইল ফোনও সঙ্গে নেননি তিনি। ঘর থেকে বেরনোর সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার। মোবাইল ফোন সঙ্গে না থাকায় যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পুলিশের কাছে যান বৈদ্যনাথের স্ত্রী।সোমবার ভোরে দমদমের আরএন গুহ রোডের কাছেই একটি গাছ থেকে বৈদ্যনাথের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। নাগেরবাজার থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ওই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনার পিছনে এসআইআর আতঙ্ককেই দায়ী করছেন বৈদ্যনাথের স্ত্রী জয়ন্তী হাজরা।দম্পতির দুই সন্তান। বড় ছেলে কলেজের প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছেন। মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। বৈদ্যনাথ হাজরার ছোটবেলার বন্ধু রাজু সাহার অভিযোগ ‘এসআইআর নিয়ে খুব চিন্তায় ছিল। আমি বলেছিলাম তোর কিছু হবে না। আমার ছোটবেলার বন্ধু। এখানেই ছোট থেকে বড় হয়েছি আমরা। ওঁর স্ত্রী বলতো খুব চিন্তায় রয়েছে, খায় না, ঘুমোয় না।’পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। স্বামীর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী। বাবার মৃত্যুতে সন্তানরা শোকস্তব্ধ। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal