Breaking News

বড় ধাক্কা রাজ্যের! উচ্চ প্রাথমিকের অতিরিক্ত শূন্যপদ বাতিল,‘কোনও নিয়োগ নয়’, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে সুপার নিউমেরারি বা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল হাই কোর্ট। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখায় স্বস্তি পেয়েছিল রাজ্য। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই উচ্চ আদালতের অন্য একটি রায়ে ধাক্কা খেল রাজ্য। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিয়মিত (রেগুলার) নিয়োগের মতো সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করা যায় না। বিশেষ পরিস্থিতিতেই ওই পদ তৈরি করা হয়।বৃহস্পতিবার শুনানির সময় আদালত স্পষ্ট জানায়, ‘ওই পদে কোনও নিয়োগ নয়।’ ২০১৯ সালে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাজ্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, মেয়াদোত্তীর্ণ প্যানেলে নতুন পদ যোগ করা আইনসঙ্গত নয়। বিচারপতি বলেন, ‘মৃত প্যানেলকে ইঞ্জেকশন দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’ আদালত জানায়, অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ করতে হলে নতুন করে শূন্যপদ ঘোষণা করতে হবে এবং নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। পুরনো, মেয়াদোত্তীর্ণ প্যানেলকে টেনে নিয়ে যাওয়া যাবে না। এরপর বিচারপতি স্পষ্ট জানান, রাজ্যের এক্সিকিউটিভ পাওয়ার ইচ্ছে মতো ব্যবহার করা যায় না। কোনও নাগরিকের অধিকার খর্ব করার মতো সিদ্ধান্ত নিলে আদালত তা খতিয়ে দেখতেই পারে।কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় তৈরি হয়েছিল ১৬০০ অতিরিক্ত পদ। এরমধ্যে কর্মশিক্ষায় পদ সংখ্যা ছিল ৭৫০, ও শারীরশিক্ষায় ৮৫০। ২০২২ সালের ১৯ মে ও ১৪ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানায় রাজ্য। এরপরই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। চলতি বছরের মাঝামাঝি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন। এমনকী বিজ্ঞপ্তিও খারিজ হয়। বৃহস্পতিবার সেই মামলার চূড়ান্ত রায়ে অতিরিক্ত শূন্যপদকেই বেআইনি ঘোষণা করা হল। মামলাকারীদের দাবি, ‘পছন্দের প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার বন্দোবস্ত ছিল।’ আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘একটা মৃত প্যানেলে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে পছন্দের ক্যান্ডিডেটকে চাকরি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্যানেলের মেয়াদ এক বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও পদ তৈরির মাধ্যমে ওই প্যানেলকে বাঁচিয়ে চাকরি দেওয়া আইনসঙ্গত নয়। তাই হাইকোর্টের বিচারপতি শূন্যপদ খারিজ করে দিয়েছেন। রাজ্যের সিদ্ধান্ত সংবিধানসম্মত হতে হয়। এটা সংবিধানসম্মত নয়।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *