অভিষেক সাহা,মালদহ :- প্রায় বছর দুয়েক ধরে চাঁচলের রামনগর গ্রামে চলছে মাদকের রমরমা কারবার বলে অভিযোগ | আর তাই পুলিশের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ও মাদকজাতীয় দ্রব্য বিক্রি বন্ধের দাবিতে শুক্রবার সোচ্চার হলেন গ্রামবাসীরা|আর তার প্রতিবাদে শুক্রবার মালদহের চাঁচল-আশাপূর রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাল গ্রামবাসীরা | ঘন্টাখানেক ধরে চলে তুমুল বিক্ষোভ |দিনের আলোতেও গ্রামের এককোণে চলছে মাদক জাতীয় দ্রব্যের রমরমা বিক্রি | যার জেরে গ্রামের নাবলিকা,কিশোরী ও বধূরা বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পায় | পুলিশকে বহুবার জানিয়েও সুরাহা মিলেনি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের| গ্রামবাসীদের অভিযোগ রামনগর গ্রামের হামেদ আলী,কুরবান আলীরা এই কারবারের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবেযুক্ত | তারাই অল্প বয়সী কিশোর এবং যুবকদের হাতে তূলে দিচ্ছে এই নেশা জাতীয় মাদক দ্রব্য | নেশায় আসক্ত হয়ে গ্রামের মানুষের মূল্যবান সামগ্রী চুরি করছে তারা বলেও অভিযোগ |এই ঘটনায় পুলিশ মাঝে মধ্যে গ্রাম অভিযান চালিয়ে কারবারিদের পুলিশের জালে আসলেও নিয়ে গিয়ে ঘন্টাখানেকের মধ্যে তাদের ছেড়ে দেয় বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ |
এদিন দূজন খদ্দেরকে হাতে নাতে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা | তাদের কাছে কিছু পরিমাণ মাদক দ্রব্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে | এদিন গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার দুপুরে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন | যার জেরে বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ হয় রাজ্য সড়ক| গ্রামের বধূ শেরিনা বিবি অভিযোগ করে বলেন,’রামনগরের হামেদ ও কুরবান আলীর পরিবার মাদক দ্রব্য জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করছে| আসক্তদের জন্য আমরা মেয়েরা ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারি না| আমরা মেয়েরা নিরপত্তাহীনতায় ভুগছি | পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হয় না |’পুলিশ সূত্রে জানা যায়,দুই মাদকজাতীয় কারবারী ও দুজন আসক্তকে আটক করা হয়েছে | পাশাপাশি চাঁচলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু মণ্ডল বলেন,পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনে | যারা এর যুক্ত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে |