নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব বর্ধমান :- মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই পালিয়ে বিয়ে করেছিল এই প্রেমিক যুগল | কিন্তু প্রথমে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় স্ত্রী, তাঁর মত্যুর পর একই ঘরে গলায় দড়ি দিল স্বামীও | এই ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার শ্রীখণ্ড গ্রামে | স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সোনালীর বাড়ি মঙ্গলকোটের পিন্ডিরা গ্রামে। ফেসবুকেই পরিচয় হয় পেশায় বিয়েবাড়ির ফটোগ্রাফার রাজেশ রায়ের সঙ্গে | সেখান থেকেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে | যদিও আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল রাজেশের | কিন্তু প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় বছর দুই আগে | সপ্তাহ তিনেক আগেই মঙ্গলকোট থেকে পালিয়ে আসে পিন্ডিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সোনালী | তাঁর পরিবারের দাবি, ১৮ পূর্ণ না হওয়ার জন্য এখনই বিয়েতে আপত্তি করেছিলেন তাঁরা | সেটা না শুনে লুকিয়ে বিয়ে করে দুজনে|শনিবার একটি বিয়েবাড়ির ছবি তোলার কাজে গিয়েছিল রাজেশ | রাতেই নিজের ঘরে গলায় দড়ি দেয় সোনালী | রাতের দিকে ডাকাডাকিতে সাড়া না দেওয়ায় দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজেশের বাড়ির লোকজন | সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন| খবর পেয়েই ছুটে আসে রাজেশ | কিন্তু স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে শুনেই নিজের ঘরে চলে যায় সে | এরপর ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় রাজেশ | রাজেশের ভাই মঙ্গল বলেন,” শনিবার রাতে দাদা একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে কাজে গিয়েছিল | বাবা গোয়ালে গরুকে খেতে দিচ্ছিলেন | সেসময় বউদি নিজের ঘরে গলায় দড়ি দেয়। পরে ডাকাডাকি করে সাড়া না পাওয়া গেলে দরজা ভাঙা হয় | ভিতরে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় বউদিকে |” ভোর রাতে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় | দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ | অপরদিকে রাজেশের পরিবারের দাবি, দুজনের পরিবারে কোনও অশান্তি হয়নি | কেন সোনালী আত্মহত্যা করল সেটা তাঁরা বুঝতে পারছে না | নবদম্পতির আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই গ্রামে |